মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সমাজের সকল পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যথেষ্ট অবগত আছেন। এটা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয়েছিল, তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বা সংবাদ আদান প্রদানের জন্য।
কিন্তু এই উপকারী মোবাইল ফোন ব্যবহারের পার্থক্যগত কারণে আমরা অনেক সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হই। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা বন্ধ করার প্রচেষ্টা চললেও কিছু অসৎ লোকের কারণে তার প্রভাব শূন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
ভূমিকা
আদিম যুগ থেকেই মানুষ উন্নত জীবনযাপনের দিকে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে। তখনকার সময়ে মানুষ আবিষ্কার করেছিল কিভাবে আগুন জ্বালাতে হয়। তারা পাথরে পাথরে ঘর্ষণ করে আগুন জ্বালানো শিখেছিল। সেই আগুন দিয়ে তারা বন থেকে সংগ্রহ করা পশুপাখির মাংস ঝলসে খেতো। এবং এটুকুই আবিষ্কার করে তারা ক্ষান্ত হয়নি।
পর্যায়ক্রমে তারা কালের বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের এই সভ্য সমাজে এসে পৌঁছে গেছে। তখনকার আবিষ্কার আর এখনকার আবিষ্কারের ভিতরে ব্যাপক পার্থক্য থাকলেও প্রত্যেকটি আবিষ্কারই এক একটি আবিষ্কার, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন, কিন্তু এই জায়গাতেই বিজ্ঞান থেমে থাকেনি।
আড়ও পড়ুন: বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন এবং তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানুন
আবিষ্কারের অদম্য নেশা মানুষের ভিতরে পায়তারা করে ফেরে। পর্যায়ক্রমে এই নেশায় তারা মোবাইল ফোন নামক একটি উন্নত মানের ডিভাইস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে ইহার আবিষ্কার আমাদের জীবনকে অনেকাংশে সহজ করে দিয়েছে। ইহার ব্যবহারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি যথেষ্ট পরিমাণ অপকারিতা রয়েছে।
আমাদের উচিত খারাপ দিকগুলি বিসর্জন দেয়া। কিন্তু সমাজে যেমন ভালো লোকের বিচরণ রয়েছে তেমনি কিছু খারাপ লোকও বসবাস করে। প্রিয় পাঠক ভাই বোনেরা, আসুন আজকে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মোবাইল ফোন বলতে কি বুঝায়?
মোবাইল একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো ভ্রাম্যমাণ। শব্দটি দ্বারা বোঝা যায় যে, যে ফোন ভ্রমণ করতে পারে বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে তাকে মোবাইল ফোন বলে। এরূপ নামকরণের কারণও রয়েছে। ডিভাইসটি আবিষ্কারের পূর্বে যে সমস্ত ফোন ব্যবহৃত হতো তার মধ্যে ল্যান্ডফোন ছিল অন্যতম।
এই ল্যান্ড ফোনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে পরিবহন করা যেত না বা নেওয়া যেত না। তারপর এলো কার্ড ফোন। অর্থাৎ বর্তমানের এটিএম বুথের মতো এরকম কিছু বুথ থাকতো যেখানে প্রিপেইড কার্ড কিনে সেই বুথের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেত। এগুলো ল্যান্ডফোনের মত একটা ফিক্সড ফোন পদ্ধতি ছিল। পরবর্তী সময়ে উপকারী এই ফোনের আবিষ্কার হয়েছে।
এই ছোট্ট ডিভাইসকে হাতের মুঠোয় পরিবহন করা যায় বলে অনেকে এটাকে মুঠোফোন নামেও অভিহিত করেন।
মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে?
মার্টিন কুপার নামে একজন ইংরেজ সর্বপ্রথম এটা আবিষ্কার করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ২৬ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মটোরোলা নামক টেলিকম কোম্পানির একজন প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি ডিভাইসটি ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অনুমান করেছিলেন।
আড়ও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা এবং তার কারণ ও প্রতিরোধ
তিনি ১৯৭৩ সালে মটোরোলা কোম্পানির জন্য এটা আবিষ্কার করেন। তার এই আবিষ্কারের পরে মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক সংস্করণ ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম বাজারে আসে। তখন ফোনটির নাম ছিল Dyna TAC 8000X. প্রথম আবিষ্কৃত এই ফোনটির ওজন ছিল প্রায় ২ কেজি বা 4.4 পাউন্ড।
মোবাইল ফোন কত প্রকার?
ইহাকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবিভাগ করা যায়-
- প্রযুক্তিগত শ্রেণীবিভাগ- জি, এস, এম (GSM-Global System for Mobile Communication) এবং সি,ডি,এম,এ (CDMA-Code Division Multiple Access). একটি SIM যখন যে কোন সেটে লাগিয়ে ব্যবহার করা যায়, তখন তাকে জিএসএম শ্রেণীর মোবাইল ফোন বলা হয়। আর কিছু সি,ডি,এম,এ ফোনে থাকে RIM কার্ড
- সেটের ধরনের উপরে ভিত্তি করে ইহা দুই প্রকারের- একটি হচ্ছে বাটন ফোন, আর অপরটি হচ্ছে স্মার্ট ফোন
বাটন ফোনের দাম খুবই কম। পক্ষান্তরে, স্মার্টফোনের দাম ৪,০০০.০০-৫,০০০.০০ টাকা থেকে শুরু করে অনেক বেশি। এই স্মার্টফোন দ্বারা বিভিন্ন প্রকারের কাজ করা যেতে পারে, যেটা আমরা নিচে আলোচনা করব। স্মার্ট ফোন ব্যবহারের উপকারিতা বাটন ফোনের তুলনায় অনেক গুণে বেশি।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কবে থেকে চালু হয়েছে?
১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে আমাদের দেশে প্রথম এটার ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে শুধুমাত্র জিএসএম প্রযুক্তির মোবাইল সেবা চালু আছে। সিডিএমএ প্রযুক্তির সেবা প্রথম দিকে কিছুদিন চালু থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে মোবাইল ফোন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা সমাজের ছোট বড় সকল শ্রেণীর মানুষই গ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। কারন আমরা এটা ব্যবহারের উপকারিতার উপর অভ্যস্ত হয়ে পরেছি।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা কত?
এটার মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এবং যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহারের উপকারিতা থাকার কারণে আমরা ইহার উপরে এমনভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে, বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের পক্ষে আর চলা সম্ভব নয়। বি,টি,আর,সি- এর নভেম্বর, ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা-
- গ্রামীণফোন- ৮ কোটি ২১ লক্ষ ৪০ হাজার
- রবি- ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ৮০ হাজার
- বাংলালিঙ্ক- ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার
- টেলিটক- ৬৪ লক্ষ ৬০ হাজার
সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৩ লক্ষ ৬০ হাজার। এই সংখ্যার ভিতরে অনেকেই একাধিক অপারেটিং কোম্পানির ফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই সংখ্যাটি এরকম দেখাচ্ছে যে ১৬ কোটি জনগণের ভিতরে ১৯ কোটি ৩ লক্ষ ৬০ হাজারই ফোন ব্যবহার করে থাকেন। ব্যবহারের উপকারিতা থাকার কারণেই এর গ্রাহক সংখ্যা অল্প সময়ের মধ্যেই এত বেশি হয়েছে।
মোবাইল ফোনের বাজার মূল্য কত?
বর্তমানে বাংলাদেশে এবং বিশ্বের প্রায় সকল দেশে বিভিন্ন মূল্যমানের ফোনসেট পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বাটন ফোনগুলি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের দাম ৪-৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক-দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। সাধারণত স্মার্টফোনগুলি দাম তার ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন কনফিগারেশন এর উপরে নির্ভর করে।
বেশি দামি হওয়ার কারণে এই সকল সেটগুলির ব্যবহারের উপকারিতা ও অনেক বেশি। বর্তমান বিশ্বে অ্যাপেল কোম্পানি এবং স্যামসাং কোম্পানির ফোনের দাম সবচেয়ে বেশি এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
মোবাইল ফোনের প্রাপ্তিস্থান
আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকা শহরে সকল ব্র্যান্ডের সকল মূল্যমান এর ফোন পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে কম দামের ব্র্যান্ডগুলো এবং ফোনগুলো উপজেলা পর্যায়ে এমনকি গ্রাম পর্যায়েও পাওয়া যায়। তবে বেশি দামি ব্র্যান্ডগুলি সাধারণত রাজধানী থেকে জেলা শহর পর্যন্তই এখন পর্যন্ত কেনাবেচা হচ্ছে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা বা সুবিধাসমূহ
বলা যায়, এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস ছাড়া এখন আমাদের জনজীবন অচল। আসুন আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-
- কথা বলার কাজে ব্যবহার করি
- খুদে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণের কাজে ব্যবহার করি
- ইন্টারনেটের কাজে ব্যবহার করি
- ছবি তোলার কাজে এবং প্রেরণ ও গ্রহণের কাজে ব্যবহার করি
- ভিডিও করা এবং প্রেরণ ও গ্রহণের কাজে ব্যবহার করি
- ভয়েস রেকর্ড এবং প্রেরণ ও গ্রহণের কাজে ব্যবহার করি
- ঘড়ি হিসেবে সময় দেখার কাজে ব্যবহার করি
- এলার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করি
- বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কেনার কাজে ব্যবহার করি, ট্রেনের বর্তমান অবস্থা কোথায় তা জানতে ব্যবহার করি
- বিমানের টিকিট কাটতে ব্যবহার করি
- চাকরির সার্কুলার খুঁজতে, চাকুরীতে দরখাস্ত করার জন্য আমরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করি
- লাইভ টিভি দেখার কাজে ব্যবহার করি
- গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, ইন্টারনেটের বিল এবং সরকারি আরও অন্যান্য কাজে বিল প্রদানের কাজে যথেষ্ট উপকারী ভূমিকা পালন করে
- ভিডিও গেম খেলার কাজে ব্যবহার করি
- বিকাশ, নগদ ইত্যাদি অ্যাপস এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন কাজে ব্যবহার করি
- ব্যাংক হিসাব, ব্যাংক ট্রানজেকশন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করি
- অনলাইন জমি খারিজ করতে ব্যবহার করি
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে আমাদের যথেষ্ট উপকার করে থাকে
- নতুন কোন জায়গায় আমরা ভ্রমণ করলে সেখানে গুগল ম্যাপের সাহায্যে সহজেই গন্তব্যস্থল খুঁজে বের করতে পারি
শিক্ষা ও গবেষণায় মোবাইল ফোন ব্যবহার
উপরের কাজগুলি ছাড়াও এটা ব্যবহারের আরো উপকারী দিক রয়েছে। যেমন শিক্ষা ও গবেষণায় মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-
- ইন্টারনেট এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রচুর পরিমাণে রিডিং মেটেরিয়ালস খুব অল্প সময়ের মাধ্যমেই যোগাড় করতে পারছে। এতে করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হচ্ছে, তেমনি স্বল্প সময়ে বেশি সংখ্যক বিষয়ে লেখাপড়া এবং গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে
- অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল গুলি আমরা পেয়ে যাচ্ছি
- অল্প সময়ের মধ্যে গবেষণার ফলাফল সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ইহার ব্যবহারের উপকারিতা অন্যান্য সকল মাধ্যমে থেকে অনেক বেশি
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার
বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের অবস্থান সনাক্ত করতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া হারিয়ে যাওয়া বা গুম হওয়া লোকজনের অবস্থান সনাক্ত করতেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক
এতকিছু উপকারী কাজ সাধন করার পরেও মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আসুন আমরা সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেই-
- দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধামন্দা ভাব, মাথার সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে
- সমাজের বিভিন্ন খারাপ শ্রেণীর লোক মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে
- মানুষ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে
- আজকাল বিভিন্ন ব্যক্তির অনাকাঙ্ক্ষিত ভিডিও এবং ভয়েস কল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুত দৃশ্যমান হচ্ছে
- অল্প বয়সী বা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে আসক্ত হয়ে তারা তাদের প্রধান কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে
- অপ্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু নিয়ে মানুষ অনেক সময় বেশি সময় ব্যয় করছে
- অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে
- মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার ফলে অনেকের ব্যক্তিগত এবং প্রয়োজনীয় গোপন তথ্য অন্য লোকের হস্তগত হচ্ছে
আড়ও পড়ুন: কলার উৎপাদন এবং কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সমাজে পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে এটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে প্রেম এবং বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে
মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা
এটার উপকারিতা থাকলেও তেজস্ক্রিয়তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঘুমের সময় মাথার পাশে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘুমানো উচিত নয়। তাছাড়া মোবাইল ফোন চার্জে রেখে ব্যবহার করাতেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটার প্রমাণ রয়েছে।যতটা সম্ভব বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে অবাধ গতিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া উচিত অনুচিত।
শেষ কথা
বিজ্ঞানের প্রত্যেকটি আবিষ্কারই মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু সেটাকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। মোবাইল ফোন ভালো কাজের উদ্দেশ্যেই যদি আমরা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করি বা দীর্ঘকাল যাবত ব্যবহার করি তাহলে সেটা আমাদের স্বাস্থ্য হানি ঘটাবে নিশ্চয়ই। আসুন আমরা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করি এবং তার উপকারিতা ভোগ করি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকা
any suggestion?